বিচিত্র এই পৃথিবীতে কত রকম মানুষের বাস। কেউ সাদা কেউ কালো, কেউ ধনী কেউ গরীব, কেউ লম্বা কেউ খাটো, কেউ শাসক কেউ শাসিত, আরও কত কী! এই বৈচিত্র্যের মাঝেও ঐক্যের সুর- সুখ-দুঃখ মিলিয়েই মানুষের জীবন। ঘরবাড়ি নেই বলে রাস্তার পাশে ফুটপাথে যাকে মাথা গুজার ঠাঁই খুঁজতে হয় তার জীবনেও যেমন সুখের পরশ থাকে, তেমনি উঁচু উঁচু অট্টালিকায় যাদের বসবাস, কাড়ি কাড়ি সম্পদের অধিকারী যারা তারাও কখনো নীল হয়ে পড়ে দুঃখ-বেদনায়। দুঃখ-বেদনা বিপদ আর কষ্টের ধরনও অনেক। শরীর মন অর্থসম্পদ সম্মান-ঐতিহ্য ইত্যাদি কত দিক থেকে মানুষ বিপদের মুখে পড়ে। কেউ হয়তো শারীরিকভাবে অসুস্থ, কাউকে দেখা যাবে পারিবারিক কারণে গভীর দুশ্চিন্তার শিকার, কারও দীর্ঘদিনের অর্জন সামাজিক সম্মানটুকু কখনো মুহূর্তে ধুলোয় মিশে যায়। এ সবই মানুষের বিপদ। মানুষের জীবনে বিপদ আসবেই। কিন্তু তাকে সবর বা ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
সবরে পরিচয় : প্রথম: আরবী ভাষার শব্দ ‘সবর’। এর শাব্দিক অর্থ হলো আটকে রাখা। বিপদে পড়লে আমরা যে সবরের কথা বলি, এর অর্থ হলো, শরীয়ত-নিষিদ্ধ সব রকম কাজে জড়ানো থেকে নিজেকে আটকে রাখা। বিপদের মুখেও এমন কোনো কাজ করা যাবে না, শরীয়ত আমাদের যার অনুমতি দেয়নি। যেমন, কারও মৃত্যুতে বিলাপ করা, দুঃখে-কষ্টে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা, আল্লাহ পাকের শানে অসঙ্গত কথা বলা কিংবা মনে মনে অসঙ্গত কোনো বিশ্বাস পোষণ করা ইত্যাদি। এসবে না জড়িয়ে দয়াময় আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নিয়ে তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করা- এর নামই তো সবর। এই সবর মুমিনের হাতিয়ার। পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা, হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে রয়েছেন। [সূরা বাকারা : ১৫৩] [ প্রবন্ধ: সবর : মুমিনের বিপদে সান্ত্বনার পরশ, লেখক : শিব্বীর আহমদ]
দ্বিতীয়: বিপদে-আপদে দুঃখকষ্টে বালা-মুসিবতে অবিচল চিত্তে সবকিছু আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করে ধৈর্যধারণ করাকেই সবর বলে। [প্রবন্ধ: ধৈর্য মানবজীবনের একটি মানবিক গুণ, লেখক: মো. মিজানুর রহমান ]
তৃতীয়: মানুষের জীবন চলার পথে সুঃখ-দুঃখ আসবে। তাকে জয় করেই সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে। সে -কোনো বালা-মুসিবতে আল্লাহর ওপর অবিচল বিশ্বাস রেখে ধৈর্যধারণ করতে হবে। সুখে-দু:খে সকল সময় আমাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন, হে ইমানদারগণ ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রর্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। [প্রবন্ধ: ধৈর্য মানবজীবনের একটি মানবিক গুণ, লেখক: মো. মিজানুর রহমান ]
মানুষের জীবনে বিদপ কেন আসে? : মুমিন বান্দা বিপদের মুখোমুখি হতে পারে দ্বীনের কথা প্রচার করতে গিয়ে, নিজের আদর্শ ও লক্ষ্যের ওপর টিকে থাকার সংগ্রামে। দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে, দ্বীনের কথা বলতে গিয়ে কেউ যদি বিপদে পড়ে আর সবর করে, তখন আল্লাহ পাক তাকে পুরস্কৃত করবেন- এ তো স্বাভাবিক কথা। কিন্তু আমাদের জন্যে আশার কথা হলো, দ্বীনের সঙ্গে সামান্য সম্পর্কও নেই এমন ব্যক্তিগত কিংবা পার্থিব বিষয়েও যদি আমরা বিপদাক্রান্ত হয়ে সবরের পরিচয় দিই, তখনো আমাদের জন্যে রয়েছে দয়াময়ের পক্ষ থেকে পুরস্কারের ঘোষণা।
প্রথম: বিপদাপদ যে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ, এ কথাটি হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে ভিন্নভাবে। সহীহ বুখারীর হাদীস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদে আক্রান্ত করেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬৪৫]
দ্বিতীয়: বিপদের সঙ্গে বান্দার ভালো-মন্দের সম্পর্ক আরেক হাদীসে আরও স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণ চান তখন দুনিয়াতে তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন, আর যখন কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তার পাপগুলো রেখে দিয়ে কিয়ামতের দিন তাঁর প্রাপ্য পূর্ণ করে দেন। [জামে তিরমিযী, হাদীস ২৩৯৬]
আরেকটি হাদীস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, সত্যি, বড় পুরস্কার তো বড় বিপদের সঙ্গেই রয়েছে। আর আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন তখন অবশ্যই তাদের পরীক্ষায় ফেলেন। তখন যে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্যেই তাঁর সন্তুষ্টি, আর যে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার প্রতি তাঁরও অসন্তুষ্টি। [প্রাগুক্ত]
উপরের আলোচনা সামনে রেখে আমরা বলতে পারি, মুমিন বান্দা নিজের কৃত অপরাধের কারণেও বিপদের মুখোমুখি হতে পারে, আবার বিপদাক্রান্ত হতে পারে প্রভুর সঙ্গে তার ভালোবাসার যাচাইস্বরূপও। যে কারণেই হোক, অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিপদও তার জন্যে রহমত হয়ে থাকে। বিপদ যদি অপরাধের শাস্তিস্বরূপ হয়ে থাকে, তাহলে এ বিপদে ভুগে সে গোনাহমুক্ত হয়ে ওঠে। আর বিপদ যদি হয় প্রভুর প্রতি তার ভালোবাসার পরীক্ষা, তাহলে সবর করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে ভালোবাসার বন্ধন হবে আরও দৃঢ়।
সবর ও শোকর মুমিনের বৈশিষ্ট্য : প্রতিনিয়ত আমরা অভাব-অনটনের সাথে লড়াই করছি। অভাব-অনটনে ধৈর্য ধারণ করা রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মহান আদর্শ। রাসূলুল্লাহ (সা.)ও অভাব-অনটনের মধ্যে দিন পার করতেন। মাসের পর মাস রাসূলের ঘরে আগুন জ্বলত না। রাসূল (সা.) দাওয়াতি কাজে দূর-দূরান্তে সফর করতেন। আর অভাব-অনটন তার সফরসঙ্গী হতো। একবারের ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সা.) বর্ণনা করেন, আমি আর বেলাল সফরে বের হয়েছি। একাধারে তিন দিন চলে গেল। আমাদের সাথে প্রাণ বাঁচানোর মতো খাবার নেই, ওই যৎসামান্য খাবার ছাড়া; যা বেলাল বোগলের নিচে লুকিয়ে রেখেছিল [তিরমিজি শরিফ]
রাসূলুল্লাহ (সা.)এর কাছে প্রস্তাব করা হয়েছিল, তুমি যদি চাও উহুদ পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করে দেয়া হবে। রাসূল (সা.) বললেন, হে আল্লাহ! আমি এটা চাই না। আমি চাই একদিন আহার করব আর তোমার শোকর আদায় করব। আরেক দিন অভুক্ত থাকব আর সবর করব।’ রাসূলের দোয়া ছিল এ রকম, হে আল্লাহ! আমাকে গরিব অবস্থায় রাখো, গরিব অবস্থায়ই আমার মৃত্যু দান করো, গরিবদের সঙ্গেই আমার হাশর করো [ইবনে মাজাহ, তিরমিজি শরিফ]
সবর ও শোকর এ দু’টি এমন মহৎ গুণ, যা মানুষকে সরাসরি জান্নাতে পৌঁছে দেয়। সবরের দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা হয়। যেকোনো বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা মূলত আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজেকে চরমভাবে সোপর্দ করার নির্দেশ করে। তাই সবরের সওয়াব অনেক বেশি। হাদিস শরিফে এসেছে, সবরের প্রতিদান হলো জান্নাত [সহিহ ইবনে খুজাইম] আরেকটি হলো শোকর। শোকর আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা নেয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দেন। কুরআন কারিমে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি তোমরা আমার নেয়ামত পেয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, তাহলে নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেবো। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে নেয়ামত ছিনিয়ে নেবো’ [সূরা ইবরহিম : ৭]
শোকর আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দাহর নেয়ামত বাড়িয়ে দেন। নেয়ামত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বিভিন্ন রূপ হতে পারে। কখনো নেয়ামতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কখনো নেয়ামতে বরকত দান করেন। যেমন সম্পদের পরিমাণ না বাড়িয়ে তাতে বরকত দান করে দেন। এ জন্যই অনেক দ্বীনদার শ্রেণীকে দেখা যায়, অল্প রোজগারে সুখ-শান্তি ও তৃপ্তির সাথে জীবনযাপন করছেন। তার মানে আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পদে বরকত দান করেছেন। আবার অনেককে দেখা যায়, সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেও সুখ নেই। আজ এই বিপদ, কাল ওই বিপদ। টেনশনের পর টেনশন। বাজে খাতে তার সম্পদ উড়ে যাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন তবে তাতে বরকত দেননি।
বিপদে করণীয় : বিপদ তাই যেমনই হোক, যে কারণেই হোক, আল্লাহ পাকের ফয়সালা মনে করে তা মেনে নেয়া, মনে কোনোরূপ মন্দ ধারণা পোষণ না করা আর সবরের সঙ্গে বিপদমুক্তির জন্যে আল্লাহ পাকের শরণাপন্ন হওয়া- এই তো মুমিন বান্দার কর্তব্য। বিপদে পড়ে সে অন্যকে দেখে অনুযোগের সুরে বলবে না- ‘বারবার আমিই কেন বিপদে পড়ি’ জাতীয় কোনো কথা। বরং চরম বিপদের মুহূর্তেও তার মুখ থেকে উচ্চারিত হবে- আলা হামদুলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ পাক যখন যে অবস্থায় রাখেন সর্বাবস্থায় তাঁর জন্যেই সকল প্রশংসা। এ সবর যদি অর্জিত হয় তাহলে অভাবের কঠিন পরিস্থিতিতেও অন্যের ধনসম্পদের প্রতি না তাকিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সে বলবে- আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর শোকর। এর বিপরীত যারা, অট্টালিকার চূড়ায় বসেও উপরের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারা কেবল আক্ষেপই করে যায়- আরেকটু যদি পেতাম, অমুকের মতো যদি এত সম্পদের মালিক হতাম ইত্যাদি।
সবরের এ ফযিলতের দিকে তাকিয়ে কেউ আবার বিপদ চেয়ে বসে কি না, হাদীস শরীফে সে বিষয়ে আবার সতর্কও করা হয়েছে। বিপদ তো এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, সবরের সওয়াবের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ কাঙ্ক্ষিক্ষত হতে পারে না। মানুষ মাত্রই বিপদ থেকে দূরে থাকতে চায়। বিপদে পড়ে গেলে মুক্তি কামনা করে। এটাই স্বাভাবিক। ইসলামের শিক্ষাও তাই। হাদীসের ভাষ্য (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,) হে লোকসকল! তোমরা শত্রুর মুখে পড়ার কামনা করো না। বরং আল্লাহর কাছে আফিয়াত ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। তবে যখন তোমরা শত্রুর মুখোমুখি হয়ে পড়বে তখন সবর করো। [সহীহ বুখারী, হাদীস ২৯৬৫ ]
কুরআনে সবর বা ধৈর্য : আল্লাহতাআলা সবর বা ধৈর্যেরও অনেক গুণ বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে মুমিনের একটি বৈশিষ্ট্যও বলেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এ গুণটির উপস্থিতি অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে ৭০ বারেরও বেশি সবর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। মানুষের উন্নতি এবং খোদার নৈকট্য লাভের বড় উপায় হলো এই সবর বা ধৈর্য। মানুষ যত বেশি সবর করতে পারবে, তার গুনাহ তত বেশি মাফ হবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা স্বয়ং রাসুলকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেছেন, হে মুহাম্মদ! এসব গায়েবের খবর, যা আমি তোমাকে অহির মাধ্যমে জানাচ্ছি। এর আগে তুমি এসব জানতে না এবং তোমার কওমও জানত না। কাজেই সবর করো। মুত্তাকিদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম [সুরা হুদ, আয়াত : ৪৯]
মুমিনের পথচলা কখনো ফুলের গালিচার মতো মসৃণ হবে না, এটাই স্বভাবিক। কেননা আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুনিয়া হলো মুমিনের জেলখানা। তাই দুনিয়ায় মুমিনের মাথার ওপর চতুর্দিক থেকে বিপদ-আপদ ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকবে, এটাই স্বভাবিক। কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তাকে পথ চলতে হবে। অগণিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তবু সবর, দৃঢ়তা, অবিচলতা ও দ্বিধাহীন সংকল্পের মাধ্যমে সব বিপদ-আপদের মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে মুমিনকে। আর যারা এসব বিপদ-আপদে পড়েও সবর করবেন আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন বলে কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সহনশীলদের তাদের সবরের পুরস্কার হিসাব ছাড়াই দেওয়া হবে। বিপদ-আপদ এটা মুমিনের নিয়তি। মানুষের ওপর কমবেশি বিপদ আসবেই। তাই বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। মুমিনের কাজ হচ্ছে বিপদে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, হে ইমানদাররা! সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য গ্রহণ করো, আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন [সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩]
তাফসীর: অর্থাৎ এই কঠিন দায়িত্বরে বোঝা বহন করার জন্য তোমাদের দু’টো আভ্যন্তরীন শক্তির প্রয়োজন ৷ একটি হচ্ছে, নিজের মধ্যে সবর, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার শক্তির লালন করতে হবে৷ আর দ্বিতীয়ত নামায পড়ার মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে৷ পরবর্তী পর্যায়ে আরো বিভিন্ন আলোচনায় সবরের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে ৷ সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক গুণাবলীর সামগ্রিক রূপ হিসেবে সবরকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ আর আসলে এটিই হচ্ছে সমস্ত সাফল্যের চাবিকাঠি ৷ এর সহায়তা ছাড়া মানুষের পক্ষে কোন লক্ষ অর্জনে সফলতা লাভ সম্ভব নয় ৷ এভাবে সামনে দিকে নামায সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা এসেছে ৷ সেখানে দেখানো হয়েছে নামায কিভাবে মুমিন ব্যক্তি ও সমাজকে এই মহান কাজের যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলে [মায়ারেফুল কুরআন, মূল: আল্লামা মুফতি শফী, অনুবাদক: মাওলানা মহিউদ্দীন খান] ###